রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশ্হাীর উদ্যোগে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন গ্রীন প্লাজা চত্তরে ৫ দিন ব্যাপী ফলদ, বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষ মেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক কৃষিবিদ দেব দুলাল ঢালী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগের মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী মো. আব্দুল হান্নান । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কাজী আশরাফ উদ্দিন জেলা প্রশাসক রাজশাহী, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান র্নিবাহী কর্মকর্তা সৈয়দা জেবিননেছা সুলতানা, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ইমরান আহমেদ, উপজেলা র্নিবাহী অফিসার পবা মো. সেলিম হেসেন ও রাজশাহী জেলার কৃষকলীগের সভাপতি মো. রবিউল আলম বাবু।
উদ্বোধনীর শুরুতে সূধীবৃন্দের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে বৃক্ষ মেলার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী, জেলা প্রশিক্ষন অফিসার কৃষিবিদ মো. সামছুল হক। তিনি মেলায় উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করে সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে ফলদ বৃক্ষের প্রবন্ধ উপস্থপন করেন অতিরিক্ত উপপরিচালক শস্য কৃষিবিদ কেজেএম আব্দুল আউয়াল। তিনি ফলদ বৃক্ষের সকল তথ্যাদি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম হচ্ছে খাদ্য। ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্যের যোগান দেয় কৃষি। তাই মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সময় উপযোগী ফলদ ও বনজ বৃক্ষ মেলা কৃষকসহ আপামর জনসাধারনকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগাতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যে কোন ফলে প্রচুর পরিমানে খনিজ লবণ, শর্করা ও যথেষ্ঠ পরিমানে ভিটামিন থাকে যা মানুষের দেহে শক্তি সরবরাহ ও দৈহিক গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। কাজেই প্রতিদিন কিছু না কিছু যে কোন ধরনের ফল খেতে হবে আর এজন্য বাড়িতে যে কোন ফলের গাছ থাকা প্রয়োজন। তিনি বনজ বৃক্ষের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বৃক্ষ শুধু আমাদের শর্করা, প্রোটিন, স্নেহ, ভিটামিন এবং খনিজ লবনের চাহিদাই পূরন করে এবং জীবন রক্ষাকারি অক্সিজেন, জ্বালানী কাঠ, কাগজ তৈরীর কাঁচামাল, মাটি ক্ষয়রোধ, রাস্তার সৌন্দর্য বর্দ্ধনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করে পরিবেশ রক্ষা করে। তিনি উপস্থিত সকল স্তরের মানুষকে ৩টি করে ফলদ, বনজ ও ঔষধী বৃক্ষের চারাা সংগ্রহ করে রোপণ করার জন্য আহবান জানান।
সভাপতি মহোদয় বলেন, এ মেলায় কৃষকের স্ব-উদ্ভাবিত কৃষি পণ্যের প্রদর্শন ছাড়াও দ্রুত কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে জেনে কৃষকগন জ্ঞান লাভ করতে পারবে। তিনি মেলায় উপস্থিত সকলকে বসতবাড়ী আঙ্গিনায় ও বাড়ীর ছাদে বড় বড় টবে বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষ রোপন করে পুষ্টিসহ আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিভিন্ন জাতের কমপক্ষে ৩টি করে ফলদ বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
৫দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলায়, ব্যাক্তিমালিকানাধীন নার্সারীসহ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্যোগে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির ফল প্রদর্শন বিষয়ক স্টলসহ ২৫টি স্টল অংশ গ্রহন করে। উদ্বোধনী পর্বে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ ১০০০ জন কৃষক কৃষানী উপস্থিত ছিলেন।